মিথ্যা নিয়ে এক কৌতুক আছে। কিন্তু মিথ্যা আসলে ৪ প্রকার। মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা, পরিসংখ্যান এর সাথে অনায়াসে যোগ করতে পারেন পাকিস্তানিদের লিখিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। ইতিহাস সব সময় বিজয়ীদের কথা বলে একমাত্র ব্যতিক্রম বোধহয় বাংলাদেশের বিজয়টা যেখানে খুনী আর আর খুনির পক্ষে সাফাই গাওয়া লোকের মানুষের কোন অভাব নাই। আহারে বাংলাদেশ। এক কথায় রিভিউ দিব? নির্জলা মিথ্যাচার, চোরের মায়ের বড় গলা। একটু বিস্তারিত গেলে বলতে হয়বইটার প্রথম দিকে আছে আমাদের নিয়াজী সাহেব কত সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, কিভাবে উনি সেরা আর্মি অফিসার হয়ে উঠলেন ব্লা ব্লা ব্লা।নিজের ঢোল নিজে পিটাতে চাইলে সাবধানে পিটাতে হয়!! বইয়ের এক জায়গায় লিখা অমুক ব্রিগেডিয়ার ৭১ এর স্মৃতিচারণ লিখছে পাকিস্তান সরকারের নির্দেশে। অথচ সেই ব্রিগেডিয়ার নাকি যুদ্ধের সব নিয়াজি সাহেবের এক সামান্য মেজর ছিল সে কিনা যুদ্ধের কিছুই জানতেন না। নিয়াজি সাহেবের ভাষায় উক্ত আর্মি অফিসার না জানে যুদ্ধ না জানে ডিফেন্সের অন্য কিছু 😂 হায়রে তথাকথিত পাকিস্তান সেরা ডিফেন্স ফোর্সের মেজর নাকি কিছুই জানে না আবার প্রোমোশন পাইতে পাইতে ব্রিগেডিয়ার ও হয়ে যায়। 😂😂পুরা বই জুড়ে ছিদ কাঁদুনে, ক্যামনে পারে মানুষ এত কাপুরুষ হইতে?!! আমি কিছু করি নাই। বাংগালীরা স্বাধীনতা ইন্ডিয়া না আইলে পাইত নাবাংলাদেশে পানি বেশি, ঠিক মত যুদ্ধই করতে পারি নাআমরা তেমন কাউরে মারি নাইআমারে ঠিক মত ফোর্স দেওয়া হয় নাইসব টিক্কার দোষপুরা বই জুড়ে হামবড়া দেমাগ, কাপুরুষতা, আর বাচ্চা মেয়ের মত ছিঁচকাঁদুনী। সিরিয়াসলি পাকিস্তান নামের দেশটায় টাইগার উপাধী পাওয়া ব্যাটা মানুষ এমনে শিশুতে মত কান্নাকাটি করতে পারে বই খানা না পড়লে জানতুম না।বইটার ঊৎসর্গ করেছেন উনি রাজাকারদের যারা অখণ্ড পাকিস্তান রক্ষার অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে, হতাশা ব্যক্ত করেছেন কেন এদের সংখ্যা এত কম ছিল। জানি না এই কাপুরুষ এখন ও বেঁচে আছে কিনা তবে বেঁচে থাকলে বর্তমানে আফসোস করবেন কেন যুদ্ধটা ৭১ এ হল কেন এই সময় না। তাহলে অন্তত কয়েকগুন বেশি অখণ্ড পাকিস্তান প্রেমী পেতেন। সবার জন্যই আফসোস দেশটার জন্য নিয়াজি নামের চুড়ি পড়া জেনারেলটার জন্য ও.